এবং আমি
জন্ম পরাধীন অবিভক্ত
ভারতের শ্রীহট্ট জেলার বিয়ানীবাজারের পঞ্চখণ্ডে।
স্বাধীনোত্তরকালে ১৯৫০
সালে উদ্বাস্তু আমরা এলাম ত্রিপুরা রাজ্যে । এরপর
ঠিকানাহীনদের আর আর সবার
মত ঠিকানা গড়ার লড়াই
আমাকে সরাসরি আক্রান্ত না করলেও, প্রভাবিত
হয়েছি বটে। বয়স তখন পাঁচ। ঐ
সময়ের অনেককিছু শুরুতেই আমাকে অন্যভাবে দেখতে এবং ভাবতে শিখিয়েছে।
শ্রেণী বিভক্ত
সমাজের বীভৎস ছবি ছিলো আমার
শৈশবের যন্ত্রণার ধারাপাত। জীবন আমাকে স্বশিক্ষিত
ও স্বশিক্ষক হতে শিখিয়েছে। প্রথাগত শিক্ষার ক্ষেত্রে ত্রিপুরার বাসিন্দা হয়েও ত্রিপুরায় প্রচলিত
শিক্ষা পদ্ধতি অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে উচ্চশিক্ষা নিতে হয়। দেখেছি ছোটবেলা থেকে সম্পদের তারতম্য অনুসারে শ্রেণীবিভাগ ,
তারচেয়েও কঠোরতর জাতপাতের শ্রেণীবিভাগ আর নির্মমতম নারীপুরুষের সামাজিক
বৈষম্য । কবিতা আমার প্রিয়ভূমি। নিয়মিত না হলেও প্রচুর কবিতা বিগত
শতকের সঞ্চয় ছিলো। নষ্ট হয়ে গেছে। জীবনের এই পর্যায়ে লিখছি। মন ভরছে না। একটা
যন্ত্রণা, দারুণ একটা অতৃপ্তি সারাটা অস্তিত্ব জুড়ে। সমকাল আমাকে ভাবায় ছুটি নেই,
কবিতা প্রিয় আবাস আমার তাই লিখি। আমি যেখানে আছি, সেখানে প্রকাশককে টাকা দিয়ে বই
ছাপাতে হয়। তাই টাকার খেল। এ যাবৎ একটা গদ্য আর একটা কবিতার বেরিয়েছে। সঞ্চয় যা
আছে পাঁচ
ছ'টা বা আরো বেশি বেরোতে পারবে। কিন্তু.....আমার মত যারা, তারা
এমনি ....এই আমি!
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুন